সম্প্রীতি : মানবিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যর্থতা!
শারদীয় দুর্গাপূজার সময় আমি অসুস্থ ছিলাম, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন আসতে পারিনি। ইনবক্সে আসা মেসেজও চেক করা হয়নি, শুধু ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে মুখে মুখে বলার পর আমার মেয়ে আমার পক্ষে একটি ছোট্ট লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। সুস্থ হওয়ার পর মেসেজ চেক করতে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। একজন একটি প্রশ্ন করেছেন, কঠিন প্রশ্ন- ‘এই যে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্বিচারে হামলা হলো, আপনারা যারা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন চলান তারা এসব প্রতিরোধে কী ভূমিকা পালন করেছেন?’
বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে যদি আমরা রাস্তায় নামতে পারি, করোনার সময় যদি বিপন্ন মানুষের সেবায় আমরা জীবন বাজি রেখে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার পাশেই যখন হিন্দু প্রতিবেশীর বাড়িঘর জ্বালানো হলো, পূজামণ্ডপ ভেঙে দেওয়া হলো, তাদের হতাহত করা হলো তখন কেন আমরা চুপ রইলাম?