শহর নামের ভাগাড়ে আমাদের জীবন
শহরের দু’জন মানুষ – একজন ছাত্র আরেকজন সংবাদমাধ্যম কর্মী– দুই সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির তলে চাপা মরে মরেছেন। মানুষ হত্যাকারী দুই চালকই ছিলেন ভাড়াটিয়া বা অবৈধ চালক। সব মিলিয়ে রাজধানীতে গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িচাপায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যম বলছে।
ময়লার গাড়ির দিনের বেলা সড়কে চলার কথা নয়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিনের বেলা কেন ময়লার গাড়ি বের হয় তার কোন উত্তরও কোথাও নেই। এগুলো কোন বড় খবর নয়, যদি আপনি ভাবেন সাধারণ মানুষতো আসলে আবর্জনাই। কিন্তু ভাবনার জায়গা ভিন্ন জায়গায়। খবর বলছে- দুই সিটি করপোরেশনের অবৈধ ও ভাড়াটিয়া চালকরা পালিয়েছেন। যে কারণে বৈধ চালক সংকটে রয়েছে সংস্থা দুটি। নগরজুড়ে দেখা যাচ্ছে বর্জ্যের স্তূপ।
সিটি করপোরেশন বলছে, অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াতেই এ সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে নগরীর অলিগলিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে বর্জ্য। দুই সিটি করপোরেশনের শত শত ময়লার গাড়ি। এখন গাড়ি আছে, চালক নেই। দু’জন পথচারীকে মেরে ফেলার পর অবৈধ চালকদের বাদ দিয়েছে দুই করপোরেশন। তাই ময়লা কমছে না, কেবলই বাড়ছে। কি এক অদ্ভুত সেবা ব্যবস্থাপনা দুই সিটি করপোরেশনের। দু’জন মানুষের অকাল মৃত্যু না হলে আমরা জানতেই পারতাম না যে, তাদের ময়লার গাড়ির এমন মর্যাদা।