কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষ বাঙালির গৃহদ্বারে করাঘাত করেছে, তবে সাড়া দেওয়ার মতো বিশেষ কাউকে মিলছে না, না ঘরে না বাইরে। এমন নয় যে কভিড অতিমারী আক্রান্ত হয়ে আমরা কুঁকড়ে গেছি, সম্মিলিত কোনো উদ্যোগ নিতে পারছি না। সেই সংকট একান্ত বাহ্যিক, এর অভিঘাত ব্যাপক হলেও কেবল বাস্তব কারণে যে আমরা কামরুল হাসানকে তার যোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করতে পারছি না তা নয়, মানসিকভাবে কিংবা চিন্তাজগতেও আমরা নানা রোগে জর্জর হয়ে পড়েছি, তাই যথাযোগ্যভাবে কামরুল হাসান স্মরণে আমাদের রয়েছে উদ্যমহীনতা। এর ফলে কামরুল হাসানের জীবন, শিল্পচিন্তা ও কর্ম এবং বাঙালি জীবনে মুক্তি বয়ে আনতে তার বহুমুখী ভূমিকা, কোনো কিছুই তুচ্ছ হয়ে যায় না, উল্টো আমরাই খেয়ানত করি আমাদের আমানতের। কেননা এত বিপুল এবং বহুবিচিত্রভাবে বাঙালির জীবন ও চিত্তপট যিনি রাঙিয়ে তুলেছিলেন, জন্মশতবর্ষে তার মহিমা অনুধাবন না করতে পারলে আমরা পথের দিশা হারিয়ে ফেলব, ঘুরে মরব গোলকধাঁধায়, যার লক্ষণ নানাভাবে আমাদের জানান দিচ্ছে। ফলে কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষের শুভক্ষণকে আমরা যেন শুভাশিষ হিসেবে গ্রহণ করে নিজেদের জানি আরও নিবিড়ভাবে, বুঝি মানবের অভিযাত্রা, শিশুতীর্থের যাত্রীদলের মতো জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে আমরা অভিযাত্রীদলেরই তো সদস্য, যদিও পথ আমাদের জানা নেই, অভীষ্ট নিয়েও নেই কোনো বিকার, আপাততুষ্টি নিয়ে বিভোর এবং জীবনের অমোঘ টানে ভেসে বেড়াবার আনন্দে বুঁদ, চলার প্রত্যয় আমাদের জন্য অবান্তর।
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
বাঙালিত্বের এবং শিল্পযাত্রার অনন্য উৎসব
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন