সম্পাদক সমীপেষু: একটি শয্যার জন্য
“শয্যা ‘মেলেনি’ তিন হাসপাতালে” (২৩-১১) সংবাদ প্রসঙ্গে এই পত্র। এই রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ চালু হলেও হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও শয্যা না পাওয়ার ট্র্যাডিশন আজও চলছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালাল চক্র কত সক্রিয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রেই জানেন। হাসপাতালে ‘শয্যা’ থাকে না তত ক্ষণই, যত ক্ষণ না এই দালাল চক্রের অর্থের দাবি মেটানো যায়। মেটানো গেলেই আলাদিনের প্রদীপের মতো শয্যার আবির্ভাব ঘটে হাসপাতালে। বিশেষ করে কোভিডকালে এই দালাল চক্রকে রোগীর পরিবাররা ভগবানতুল্য মনে করেছেন এই ভেবে, যদি একটা শয্যা এরা জোগাড় করে দিতে পারে। আজিমগঞ্জের ৩২ বছরের যুবক সঞ্জীব মণ্ডলের হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরার কথা সংবাদমাধ্যমে চাউর হওয়ার পরে যদি শয্যার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে সেটা আগে কেন করা হয় না? তা হলে তো মানুষকে এত হয়রানির শিকার হতে হয় না। ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘দুয়ারে সরকার’ অলিতে গলিতে বাজারের সর্বত্রই শোনা যায়। কিন্তু যখন দেখি গ্রামগঞ্জের এই সব খেটেখাওয়া মানুষ প্রাণপাত করছেন শুধু একটা শয্যার জন্য, তখন মনে হয় না এঁদের দুয়ারে সরকার পৌঁছতে পেরেছে বলে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ভুক্তভোগী
- শয্যা
- দালাল চক্র