কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিদেশ ফেরতদের চাকরিতে পুনর্বহালের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

কোভিড-১৯-এর কারণে কর্মচ্যুত এবং স্বদেশে ফিরে আসা সব অভিবাসী কর্মীকে দ্রুত স্বাগতিক দেশসমূহে চাকরিতে পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সোমবার জেনেভায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চাকরির নিশ্চয়তাসহ সব ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্বাগতিক দেশসমূহকে আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব অভিবাসী কর্মীর জন্য দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অভিবাসী কর্মীরা তাদের স্বদেশ এবং স্বাগতিক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাদের আয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ পরিবারের জীবিকার সংস্থান হয়। এ সময় করোনা মহামারির কারণে চাকরি হারিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসা অভিবাসী কর্মীদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে মন্ত্রী অবহিত করেন। আইওএম’র মহাপরিচালক এন্তোনিও ভিতোরিনো সভায় সভাপতিত্ব করেন। কলম্বিয়া, ফিলিপাইন ও ভেনিজুয়েলার  প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা সভায় যুক্ত ছিলেন।সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়: এদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের একটি শিক্ষা দিয়েছে যে, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। বৈশ্বিক শান্তি স্থাপন, টেকসই উন্নয়ন এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে। সোমবার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অত্যাসন্ন বিশ্ব শান্তি কনফারেন্সের অংশ হিসেবে ওয়েবিনারটি আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় ‘এডভান্সিং পিস থ্রু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ওয়েলবিয়িং’- শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রধান গীতাঞ্জলি সিং। ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- সিপিজে’র নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান, ওবিই। স্বাগত বক্তব্যে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার পথে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ অর্জন ও অনন্যসাধারণ দিকসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশনের প্রস্তাব উত্থাপনকারী দেশ এবং টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমেই এই শান্তি অর্জিত হতে পারে। অনুষ্ঠানে ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা: একুশ শতকের বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’- শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল এডুকেশন অনুষদের ডিন এবং সিপিজে’র রিসার্চ ফেলো ড. সামিয়া হক। অর্থনৈতিকভাবে টেকসই, শান্তিপূর্ণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, আমি বিশ্বাস করি সকল আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা, ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার পদ্ধতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক শান্তির অগ্রগতিতে অবদান রাখছে এবং মানবতাকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর আমি আরও বিশ্বাস করি যে, ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এটাই করতে চেয়েছিলেন। ইউএন উইমেন বাংলাদেশ এর হেড অফ অফিস গীতাঞ্জলি সিং বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজে এবং ইউএন উইমেন ২০১৮ সাল থেকে ‘উইমেন পিস ক্যাফে’- উদ্যোগের মাধ্যমে শান্তি ও সামাজিক সংহতি প্রচারে একসঙ্গে কাজ করছে। এটি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ মাধ্যম যেখানে তারা পুরুষ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শান্তি প্রচার এবং লৈঙ্গিক সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে চলছে। ওয়েবিনারে ইউএন উইমেন ও সিপিজে’র ‘পিস ক্যাফে’র সদস্যবৃন্দ শান্তি ও সামাজিক সমপ্রীতি বিষয়ে একটি পিস আড্ডার মাধ্যমে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এই পিস আড্ডায় তারা বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব শান্তি এবং ন্যায়বিচারের অবদান বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ বিষয়ে পিস ক্যাফে থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার কথাও তারা ওয়েবিনারে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে নীতি-নির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উন্নয়ন সংস্থার কর্মীগণ এবং তরুণ পিস ক্যাফে সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইন আয়োজিত ওয়েবিনারটি সিপিজে’র ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে লাইভে সরাসরি সমপ্রচার করা হয়। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন- সিপিজে’র অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড লিগাল এমপাওয়ারমেন্ট এর ডিরেক্টর শাহরিয়ার সাদাত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত