তাহলে কি বিজয় দিবসে উড়বে পাকিস্তানি পতাকা?
কেউ কেউ এমন কথাও বলেন– মেঘে মেঘে অনেক বেলায় তো হলো। বছরের হিসাবেও অনেক বছর। কাজেই সবকিছুই ভুলে যাওয়া উচিত। মহান ৭১ সাল সম্পর্কে যখন কেউ এ ধরনের আপসকামী কথা বলেন, আমি তার বা তাদের সঙ্গে কখনোই একমত হতে পারি না। আবার এটাও ঠিক, হিংসা, বিদ্বেষ নিয়ে সত্যিকারভাবে সামনে এগোনো যায় না। কাজেই বৈরী নয়, বন্ধুত্বই হোক সম্পর্কের বন্ধন। কিন্তু শত্রুকে কী সহজে ভুলে যাওয়া যায়? সত্যিকার বন্ধুত্ব কী হয় শত্রুর সঙ্গে? তাও যদি হতো শত্রু ক্ষমা চেয়েছে, বলেছে আমি ভুল করেছিলাম। ক্ষমা চাই। তাহলেও না হয় একটা সম্পর্ক দাঁড় করানো যেত।
কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটীয় কিছু ঘটনা বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। একে তো টি২০ বিশ্বকাপে অব্যাহত গতিতে বাংলাদেশের হারের দৃষ্টান্ত আছে। তার ওপর ঘরের মাঠে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কাছে নাস্তানাবুদ পরিস্থিতি এতটাই বিব্রতকর যে আসন্ন বিজয়ের মাসে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া সত্যিকার অর্থে কষ্টকর।