সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের কাছ থেকে সেখানকার কর্মীদের ‘বকশিশ’ নেওয়ার চল এতটাই সর্বজনগ্রাহ্য প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে যে এটি কার্যত সেবাগ্রহীতাদের অবশ্যপ্রদেয় বিষয়ের মর্যাদা লাভ করেছে। এটি সর্বজনবিদিত যে কোনো কোনো হাসপাতালের কিছু কর্মী সেবা দেওয়ার পর রোগী বা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বকশিশ চেয়ে নেন।
আবার কোথাও কোথাও সেবা দেওয়ার আগেই জবরদস্তিমূলকভাবে অগ্রিম বকশিশ আদায় করা হয়। কোনো রোগী বা রোগীর স্বজন যদি তা দিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করেন, তাহলে তাঁকে অশেষ হয়রানির শিকার হতে হয়। টাকা দিতে না পারলে বকশিশ শিকারি কর্মীর হাতে যে রোগীর জীবনও চলে যেতে পারে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তেমনটিই দেখা গেল। সেখানে গত মঙ্গলবার রাতে দাবি অনুযায়ী বকশিশ না দেওয়ায় আসাদুজ্জামান নামের একজন কর্মী এক রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেন এবং তাতে রোগীর মৃত্যু ঘটে।