একজন বৈমানিকের বর্ণনায় ৩ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ
নভেম্বর ১৯৭৫ সাল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর আড়াই মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবনে পাকাপোক্তভাবে গেড়ে বসেছে।
১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই খুনি মোশতাক ও ফারুক-রশিদ গং সেনাবাহিনীর ‘চেইন অফ কমান্ড’ ভেঙে ট্যাংক দ্বারা বেষ্টিত অবস্থায় বঙ্গভবনে অবস্থান করছিল। কর্নেল ফারুকের নেতৃত্বাধীন ‘বেঙ্গল ল্যান্সারে’র ট্যাংকগুলো বঙ্গভবনের চতুর্দিক ঘিরে রেখেছিল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই অনুমান করা হচ্ছিল, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।