কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সতর্ক না হলে মাসুল দিতে হবে

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৮

সম্প্রতি বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে কুমিল্লায় সৃষ্ট একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশের নানা স্থানে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ইমেজের যে ক্ষতি করেছে তা এককথায় অমার্জনীয়। এই ক্ষতিটা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়েছে। জাতিসংঘ এই ব্যাপারে বাংলাদেশকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছে। আসলে বিশ্বের যেখানেই সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরুর সমস্যা রয়েছে, সেখানেই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সমস্যার সৃষ্টি হয় বা হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কালো ও সাদাদের মধ্যে হানাহানি চলমান শত বছর ধরে। ইউরোপে নব্য নাৎসিবাদের উত্থান চোখে পড়ার মতো। বর্ণবাদও সেখানের কোনো কোনো দেশের জন্য বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান যখন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে বসবাসরত জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের নিয়ে বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক করে রাখে। কভিড-১৯ সংক্রমণ যখন শুরু হয়, তখন কানাডায় কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাসরত চীনাদের দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপারটা এমন—চীনের উহানে এই অতিমারির জন্ম, তাই কানাডার মানুষ ধারণা করে বসল যত নষ্টের মূল এই চীনারা। মানুষকে মানুষ হিসেবে না দেখে তাদের যদি জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা ভাষার ভিত্তিতে বিভাজন করা হয়, তখন সেখানে সাম্প্রদায়িকতার মতো একটি ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হতে বাধ্য। মিয়ানমারে সংঘটিত সাম্প্রতিক হানাহানি তার একটি বড় উদাহরণ। মালয়েশিয়া আমাদের কাছের দেশ। সেখানে সব ক্ষেত্রে দেশের আদি বাসিন্দাদের (ভূমিপুত্র) অগ্রাধিকার। সম্প্রতি আমার বাঙালি বন্ধু, যিনি সেই দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। যখন হাসপাতালে ভূমিপুত্রদের জায়গা হচ্ছিল না, তখন তাঁকে হাসপাতাল ছেড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। সেখানে কয়েক দিন পর তিনি অনেকটা সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান। এটিও এক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা—স্থানীয় ও বিদেশি। ভারতকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু সেই ভারত কি তাদের সেই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছে? পারেনি। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ধর্ম ও বর্ণের নামে নিয়মিত সংঘাত আর সন্ত্রাস হয়। ইরাক, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে এখনো শিয়া-সুন্নি বিভাজনের নামে নিয়মিত মসজিদে হামলা হয়, শত শত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। অথচ আল্লাহর নবী কখনো এসব বিভাজনের সঙ্গে নিজেকে জড়াননি। ইসলামে এমন কোনো বিভাজনও নেই। তিনি সৃষ্টিকর্তার শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুসলমানদের হাতে যতসংখ্যক মুসলমান প্রাণ হারিয়েছেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য এবং তা এখনো চলমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও