সাপও অকারণে ফণা তোলে না
বর্ষার শুরুতে গাঁয়ে গিয়েছিলাম। বসেছিলাম চা দোকানে। একদল শিশু-কিশোর হল্লা করে আমাদের দিকে আসছিল। হল্লার কারণ, একটি গোখরা সাপের গলায় রশি বেঁধে একজন আগে আগে হাঁটছে আর অন্যরা পেছনে পেছনে জয়ধ্বনি করছে। সাপটার লেজ তখনো নড়ছিল। জোয়ারের পানি ওঠার আগে জমির আলে পেতে রাখা চায়নাজালে মাছের লোভে প্রায়ই এরকম সাপ ঢুকে থাকে।
সাপ মানুষের শত্রু। শত্রুর শেষ রাখতে নেই। শৈশবে আমরাও এসব করতাম। নতুন বৃষ্টির পানিতে ডোবায় নেমে আসা ব্যাঙ মেরে হাত পাকাতাম, মরা গরুর কাছ থেকে শকুন তাড়িয়ে দেয়াসহ অমঙ্গলের হাত থেকে বাঁচতে পেঁচাকে গ্রামছাড়া করতাম।
‘আমিই তাদের (বিশ্বের সব জীব) মাঝে জীবিকা বণ্টন করি এবং পার্থিব জীবনে একজনকে আরেকজনের ওপর সমুন্নত করি; যাতে একে অপরের দ্বারা সেবা নিতে পারে (সূরা ৪৩, আয়াত ৩২)।