কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটেছে এক নারকীয় ঘটনা। ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর বার্স্ট ফায়ার করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে তিন শিক্ষক ও এক ছাত্রসহ নিহত হয়েছেন ছয়জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। কয়েকজনকে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে হামলাকারীরা। জানা যায়, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ১২-১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসার দিকে যায়। এর কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ ও মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়। আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে মাদ্রাসার দিকে গেলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময়ের মধ্যে। হামলার ঘটনায় রোহিঙ্গা নেতারা দায়ী করেছেন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা)। তারা বলছেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে ইসলামি মাহাস নেতাদের সঙ্গে আরসার বিরোধ চলছিল। অবশ্য পুলিশ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় আরসার অস্তিত্ব স্বীকার করছে না। পুলিশের মতে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আরসার নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ওদিকে অনেক রোহিঙ্গার দাবি, মুহিবুল্লাহ হত্যা ও ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। তারা বলছেন, আরসার সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরও
২ ঘণ্টা, ২০ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ২১ মিনিট আগে
৬ ঘণ্টা, ২৮ মিনিট আগে
১০ ঘণ্টা, ৩৬ মিনিট আগে
১০ ঘণ্টা, ৩৭ মিনিট আগে
১০ ঘণ্টা, ৪৩ মিনিট আগে
১০ ঘণ্টা, ৪৬ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ৫৮ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ১০ মিনিট আগে