জ্ঞান তুলে নেওয়া হবে, মূর্খতা জেঁকে বসবে
দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই ভূতের আছর বাড়ছে। ঈর্ষাকাতর গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিকলাঙ্গরা ভূত সাধনায় ব্যস্ত থাকছে। ওরা জানে ভূতের পা উল্টো। তাই এরা হাঁটলে পেছনের দিকে যাবে। এভাবে দেশকে যদি পিছিয়ে দেওয়া যায় এদের প্রাপ্তি এখানেই। দুর্গাপূজার উৎসব নিয়ে কিছুটা দুর্ভাবনা আমার ছিল। কারণ জঙ্গি ও জঙ্গি ভাবধারার মানুষ এসব আয়োজনের ভেতরেই পানি ঘোলা করে মাছ ধরার চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে মন্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়তো সম্ভব হয়নি, তাই ভিন্নপথ নিয়েছে। আমার মনে হয় এসব ভূত-সাধকরা তেমন মেধাবী হয় না। তাই অপরিপক্ব কান্ড ঘটিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করেছে। এ কারণেই মন্ডপে সুবিধা করতে না পেরে কুমিল্লায় বাড়ির বাইরে রাতের অন্ধকারে একটি ডামি উপবিষ্ট হনুমান মূর্তির ঊরুতে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে গেছে কোনো ভূত উপাসক। দিনের আলো ফুটতেই ‘মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন’ অর্থাৎ ‘কোরআন অবমাননা করা হয়েছে’, এমন স্ট্যাটাস ও ভিডিও ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব করা হয়েছে। আরও বিস্ময়কর খুব দ্রুততার সঙ্গে ‘তওহিদি জনতার’ ব্যানারে একদল মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। সবই যেন একটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আগে থেকেই যেন প্রস্তুতি ছিল একটি অপকান্ড ঘটানোর জন্য।