চামড়ার দরপতন ও ট্যানারি শিল্পের ব্যর্থতা
পানির দামে- এ শব্দ দুটি এখন আর প্রাণীর চামড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না। সারাবছর যেসব প্রাণী মানুষের মাংসের জোগান দেয়, সেগুলোর চামড়ার দামের খোঁজ না জানলেও সাধারণ মানুষ কোরবানির সময়কার চামড়ার দামটা জানে। গত কয়েক বছর কোরবানির সময় প্রাণীর চামড়া আক্ষরিক অর্থেই মূল্যহীন হয়ে গেছে।
কোরবানির চামড়া দেশের অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব রাখে, সেটা আমরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করি না। আমি চামড়া শিল্পের কথা বলছি না। কাঁচা চামড়া বিক্রির টাকার পুরোটা যায় সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের হাতে। এটা ওই মানুষদের কষ্ট যেমন লাঘব করে কিছুটা হলেও, তেমনি কয়েকশ কোটি টাকার সম্মিলিত ব্যয়ের একটা প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে।
কিন্তু সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার হলো, করোনার এই সময়ে যখন এসব মানুষের কাছে এই টাকাটার মূল্য আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন করোনার মধ্যে পরপর দুটি ঈদে চামড়া একেবারে মূল্যহীন হয়ে গেছে। চামড়ার দরপতন শুরু হয়েছে সত্যি বলতে আরও কয়েক বছর আগে থেকে। সরকারের এক লজ্জাজনক ব্যর্থতা পরিস্থিতিকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে।