ম্যাকফারসন লাইব্রেরি

দেশ রূপান্তর প্রশান্ত মৃধা প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৩০

বাগেরহাট শহরে সম্ভবত এই একটি স্থাপনা এখনো পর্যন্ত বহন করে চলেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভার। চার দশক আগে যে দিনগুলোতে সেখানে এক একটি বিকেলে সবে ঢুঁ দেওয়ার সুযোগ হয়েছে, কিন্তু কোনো বই নেওয়ার মতন অবস্থা হয়নি, কিংবা তখন জানি না কী করে সেখানকার সদস্য হতে হয়, সে সময় থেকে বহুদিন পর্যন্ত আমাদের কাছে এই প্রশ্ন একবারও ওঠেনি, কে এই ম্যাকফারসন। কেন তার নামে এই লাইব্রেরি। অবশ্য সেই ঔপনিবেশিক কেতার পুরনো ছোট্ট একতলা ঘেরা টানা বারান্দা ও ভেতরে দুটো বড় ঘর, সামনে আরও ছোট একটি ঘাসের আঙিনা, এই ভবনের ওপরে ইটে খোদাই করা ওই সাহেব মশাইয়ের নামের সঙ্গে আরও একটি দেশি নাম জুড়ে দেওয়া ছিল। কিন্তু আমাদের মুখে সে নামটি ফিরত না, আমরা প্রচলিত নামটাতেই অভ্যস্ত ছিলাম। আরও এক জায়গায় উল্লেখ ছিল। তা দেখেছি সদস্য হওয়ার ফরমটি হাতে নিয়ে। সেখানে ওপরে লেখা : ম্যাকফারসন লাইব্রেরি ও পূর্ণচন্দ্র রিডিং রুম। কোনো বয়স্কজন জানিয়েছেন, পূর্ণচন্দ্র ছিলেন স্থানীয় একটি অঞ্চলের জমিদার। ওই ইংরেজ সাহেবের সঙ্গে মিলে এই জায়গা আর লাইব্রেরি ভবনটি স্থাপনের জন্য অনুদান দিয়েছিলেন। হয়তো সে গল্পগাছার ওখানেই শেষ নয়। সেই ঔপনিবেশিক শাসনের কাঠামোগত কায়দা-কৌশল সম্পর্কে পরে যখন খানিক ধারণা করা গেল তখন জানলাম অথবা আমাদের বোধে কুলালো যে, হয়তো একটি পাঠাগারের অনুমোদন দিয়েছেন ইংরেজ রাজের ওই সরকার বাহাদুর আর আর্থিক বিষয়টি দেখভাল করেছিলেন স্থানীয় জমিদার। জমিদারদের তৈরি করে দেওয়া এমন স্থাপনার নমুনা এই শহরে আরও আছে। কিন্তু এটির ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রশ্নে হয়তো ওই ইংরেজের নামটা মাথায় রেখে লাইব্রেরি ভবনটি ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে গেছে। সত্যি, এইটুকু আমাদের প্রজন্মের সবারই ওই পাঠাগারটির প্রাথমিক ঠিকুজি-কুলজি সম্পর্কে ধারণা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও