সম্ভাবনার ই-কমার্সে সুশাসন সর্বাগ্রে
অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, প্রথম দিকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যাপক লোকসান করতে। এরপর বিক্রি বাড়িয়ে ভালো রকমের ব্যবসা করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। অ্যামাজন এই ধরনের বিজনেস মডেল ফলো করে। কিন্তু তারা চায় গ্রাহকরা যেন তাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকে। কোনো প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের লোকসানের ইচ্ছা থাকলে তাদের পুনরায় বিনিয়োগ করার মতো প্রচুর অর্থের জোগান থাকতে হয়। কিন্তু ইভ্যালি বা আলোচিত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার মডেল টেকসই নয়। তাদের মূল্যছাড়ের প্রলোভনে প্রথমে অল্প কিছুসংখ্যক ক্রেতা এসেছে।
এসব ক্রেতার প্রচারণার ফলে পরে আরও ক্রেতা এসেছে। এভাবে অনেক ক্রেতা তাদের আগাম টাকা দিয়েছে। একপর্যায়ে তারা আর নতুন ক্রেতা পায়নি। ফলে পণ্য সরবরাহে সময় বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এ গতিতে চলতে গেলে হয় নতুন ক্রেতা আসতে হবে, নতুবা বিনিয়োগকারী আসতে হবে। এর কোনোটা না এলে শেষের দিকে যারা টাকা দিয়েছে তারা লোকসানে পড়েছে। আসলে ই-কমার্স কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা ব্যবসার মডেলে। কে কীভাবে করছে, তা নিয়ে।