দেশের মানুষের মনে তাঁর স্থায়ী আসন
দেশের মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির মূর্তপ্রতীক তিনি। বদ্ধ জানালার কপাট খুলে দিতে প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন ১৯৮১ সালে। মানুষকে মুক্তির দিশা দিতে পারেন, এমন একজন মানুষের বড় প্রয়োজন ছিল তখন। ওই সময়ের একমাত্র দাবি ছিল সেটাই। শুধু সময়ের দাবি মেটাতেই নয়, মুক্তিকামী মানুষকে নতুন করে মুক্তির দিশা দিতেই তিনি ফিরে এসেছিলেন এই বিরান বাংলায়। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আহ্বান উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। মানুষের আকুল আহ্বান উপেক্ষা করবেন, এমন রক্তধারা তাঁর শরীরে প্রবহমান নয়। মাটির টান আর মানুষের প্রবল ভালোবাসা সেদিন তাঁকে জুগিয়েছিল অদম্য সাহস ও শক্তি। শক্তির বলেই তিনি সেদিন নিতে পেরেছিলেন সামরিকতন্ত্রকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত। পেছনে ফেলে এসেছিলেন নারীর নিশ্চিত সংসার। ফেলে এলেন প্রিয়তম স্বামী ও দুই সন্তান। সেদিন বাংলার মানুষ তাঁকে বরণ করে নিয়েছিল অশ্রুবৃষ্টির ভেতর দিয়ে। সেদিনের বিশাল জনসমুদ্র তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিল, তিনি একা নন। এই জাতি তাঁর সঙ্গে। জাতির সেই ভালোবাসা ও আস্থার জবাবে তিনিও জানিয়েছিলেন, বাংলার মানুষের দৈন্য দূর করতে তাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত। সেদিন নিজেকে জাতির কাছে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। ‘কারফিউ’ গণতন্ত্রের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়ে মানুষের নতুন মুক্তির ভিত্তি রচনা হলো সেদিন।