সমুদ্রভিত্তিক 'ব্লু ইকোনমি' তথা সুনীল অর্থনীতির 'বিপুল সম্ভাবনা' নিয়ে কথাবার্তা কম দিন ধরে চলছে না; কিন্তু সেই সম্ভাবনা যে এখনও 'দক্ষ জনবলের অপেক্ষা' করে আছে, সোমবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের এই তথ্য আমাদের হতাশ না করে পারে না। সুনীল অর্থনীতির সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে যে গবেষণা বিলম্বে হলেও শুরু হয়েছে, তাও সীমিত রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত উপকূলীয় পর্যায়ে।
এমনকি সমুদ্র গবেষণা উপযোগী জাহাজ থাকার মতো নূ্যনতম সক্ষমতার অভাবে বিস্তৃত মহীসোপান থেকে একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল পর্যন্ত গবেষণা শুরু করা যাচ্ছে না। অথচ ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পরপরই এসব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত ছিল। স্বীকার করতে হবে যে, খোদ সমুদ্রসীমা ও সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়েই পূর্ববর্তী বিভিন্ন সরকার উদাসীন ছিল।