সমস্তটাই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে
পৃথিবীব্যাপীই অসুখ চলছে। অসুখটা পুরোনো, কিন্তু ক্রমশ তা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তপ্ত হচ্ছে ধরিত্রী। জানা যাচ্ছে, যখন থেকে তাপমাত্রার হিসাব রাখা হয় তার মধ্যে এ বছর জুলাই মাস ছিল সবচেয়ে তপ্ত মাস। দাবানল আগেও ছিল; এ বছর দাবানলের ভয়াবহতা বেড়েছে। নেভানো কঠিন হচ্ছে। কোথাও কোথাও উড়োজাহাজ থেকে পানি ছিটিয়েও সুবিধা হয়নি। যেসব জায়গায় বন্যা আগে তেমন হতো না সেখানেও এবার বন্যা হয়েছে। জার্মানিতে এমন বন্যা হয়েছে যেমনটা সে দেশবাসী কখনও দেখেনি।
চীন ও আমেরিকা এখন ভীষণভাবে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী; ক্ষিপ্ত বাণিজ্য-যুদ্ধ চলছে; কিন্তু দু'দেশেই; করোনা তো বটেই, বন্যার ব্যাপারেও দেখা গেল সমান ব্যথায় ব্যথিত। চীনে বড় রকমের বন্যা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে বন্যা হয়েছে আমেরিকাতেও। দুই দেশেই মারা গেছে মানুষ। এবং হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে নিরাপদ স্থানে। অতিবৃষ্টিতে নিউইয়র্ক শহরে এমন এক আকস্মিক প্লাবন হয়েছে যেটা নিউইয়র্কবাসীর অভিজ্ঞতার মধ্যে ছিল না। মৃত্যু ঘটেছে ২৫ জনের। আহত অনেকে। সমস্ত শহর লন্ডভন্ড। অর্থনৈতিক ক্ষতি বিপুল।