বিলম্বিত বিচার অবিচারের শামিল, কথাটি বহুপুরাতন হইলেও বহুমান্য হয় নাই। জরুরি অবস্থা, এমনকি ভয়াবহ অতিমারির আবহেও এই ‘অবিচার’ বেশি দিন চলিতে পারে না। অথচ, কলিকাতা হাই কোর্ট নিয়মিত কাজ শুরু করিলেও জেলা ও মহকুমা আদালতগুলির দরজা এত দিন হুড়কা আঁটিয়া বন্ধ ছিল। বহু বৎসর ধরিয়া বহু মামলায় ভারাক্রান্ত এই আদালতগুলি অতিমারির কারণে দীর্ঘ ছুটি থাকিবার জন্য যে পরিমাণ বকেয়া কাজ জমিয়াছে, তাহা ভাবিতেও চিত্ত শঙ্কিত ও সঙ্কুচিত হয়। কারণ, তাহার পরিমাপ কেবল কর্মদিবস দিয়া হইবার নহে— শেষ অবধি ইহার মূল্য চুকাইতে হইবে মানবজীবন দিয়া। কত বিচারপ্রার্থীর ইতিমধ্যেই কত অপূরণীয় ক্ষতি হইয়া গিয়াছে, কে বলিতে পারে? আদালত খুলিবার অপেক্ষায় কত জীবনের স্বাভাবিক গতিতে ছেদ পড়িয়াছে, কত জন বিচারের আশা ছাড়িয়া অন্যায়ের সহিত আপস করিয়াছে, তাহার হিসাব করা সম্ভব নহে। প্রশ্ন উঠিতে পারে, হাই কোর্ট অনলাইনে কাজ শুরু করিলে নিম্ন আদালতগুলি খুলিতে বিলম্ব কেন?
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
অবিচার
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন