কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুলতানপুরে অশান্তির নেপথ্যে একটি পরিবারকে দায়ী করলেন ওলিও

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের একটি পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। একটি হত্যার ঘটনায় ওই পরিবার ও তাদের অনুগতদের সম্পৃক্ততা সামনে আসার পর তিনি ও তার ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই এসব কিছু করা হচ্ছে বলে গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান। এর আগে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের স্বপন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের একটি সংস্থাকে হাত করে প্রতিপক্ষের লোকজনকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয় ওলিও ও তার ছেলে ফারুকের বিরুদ্ধে। হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী শফিকুল ইসলাম হৃদয়ের মা নারী ইউপি সদস্য ইসরাত জাহান ও আরেক আসামি সাধন চৌধুরীর ভাই মতিলাল চৌধুরী ওই সংবাদ সম্মেলনটি করেন।ফিরোজুর রহমান ওলিও তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের গভর্নর ফোরামের চেয়ারম্যান ছিলেন। এর পাশাপাশি নিজ ইউনিয়ন সুলতানপুরের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে ২৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এই সময়ে তিনি কোনো অন্যায় বা খারাপ কাজে জড়িত হয়েছেন তা কেউ বলতে পারবে না। মানবিক এবং সামাজিক কাজকর্মই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। তিনি উপজেলায় চলে আসার পর তার ছেলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আসছে নির্বাচনেও সে প্রার্থী হবে। আর এ কারণেই তাদের লক্ষ্য করে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তবে এতে ইউনিয়নের একটি পরিবার ছাড়া সবার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, হাবলাউচ্চ গ্রামের প্রয়াত মতিউর রহমান তার জীবদ্দশায় ইউপি নির্বাচনে তার কাছে দুইবার পরাজিত হন। পরাজয়ের সেই যন্ত্রণা থেকে মতিউর রহমানের পরিবার এবং তার সমর্থকরা প্রতিহিংসাবশত তার সবকিছুতেই বিরোধিতা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় স্বপন হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তিনি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ওই মহলটি উঠেপড়ে লেগেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত, সবকিছুই গ্রেপ্তারকৃত আসামি হৃদয় তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বপন হত্যকাণ্ডে আমার ও আমার ছেলের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সিআইডির তদন্তেও সেটি স্পষ্ট হয়েছে। মূলত আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এখন প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করে সম্মানহানি করা ছাড়াও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। স্বপন হত্যকাণ্ডে স্বীকারোক্তি দেয়া হৃদয়ের মা নারী ইউপি সদস্য ইসরাত জাহান আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি বানোয়াট ও নির্জলা মিথ্যা। বরং ওই সংবাদ সম্মেলনের পর হত্যাকাণ্ডে তার যোগসাজশ থাকার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলে থাকা সাধন চৌধুরীর বড় ভাই মতিলাল চৌধুরী আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাও বাস্তব বিবর্জিত। সাধন চৌধুরী আমার  কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা কর্জ নিয়ে কয়েক বছর পর ৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১ লাখ টাকা এখনো দেয়নি। এই টাকা চাওয়ার কারণে সে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধাচারণ শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কে এম সেলিম খান, ইউনিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রতন কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষক পূর্ণ চন্দ্র রায়, ইউপি সদস্য আবুল খায়ের, বিশিষ্ট সর্দার জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা অরবিন্দু চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ৯ জন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে