নদীভাঙন ও সমন্বিত পরিকল্পনা
‘নদীর ধারে বাস তো ভাবনা বারো মাস’ এ রকম একটি কথা প্রচলিত আছে। আমার বাড়ি এ রকম জেলায় (চুয়াডাঙ্গা) না হওয়ায় বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন স্টেশনে পদায়ন এবং আমি ভ্রমণপিয়াসি হওয়ায় কিছু অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। প্রায় দুবছর লালমনিরহাটে থেকে দেখেছি তিস্তাপাড়ের মানুষের হাহাকার। আজ ‘আবাস’ আছে কাল তা ‘নেই’ হয়ে যায়। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটসহ এ এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি অনেকের করুণ পরিণতি। এ এলাকার গাইবান্ধার অবস্থা সবচেয়ে করুণ। বাংলাদেশে ছোট-বড় অসংখ্য নদী আছে। এর মধ্যে প্রধান নদীগুলো হলো পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। এগুলোই সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার হচ্ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ নদী হচ্ছে যমুনা। এ ছাড়া তিস্তা, ধরলা, আত্রাই, কুশিয়ারা, খোয়াই, সুরমা, সাঙ্গু, গোমতী, মাতামুহুরী, মধুমতী, বিষখালী ইত্যাদি নদী ভাঙনপ্রবণ। নদীভাঙন এ দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে যেকোনো দুর্যোগের চেয়ে বেশি মাত্রায় ধ্বংস করছে। নদীভাঙনকে অনেকে বলে থাকেন, ‘ঝষড়ি ধহফ ঝরষবহঃ শরষষবৎ-উরংধংঃবৎ’। কিন্তু এ নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি বা চিন্তাভাবনা খুবই কম হয়।