এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে...
গত বাজেট অধিবেশনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আমার একটি বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের দিক থেকে যৌক্তিক জবাব না পেলেও অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হয়েছিলাম। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, সরকারি ও তথাকথিত বিরোধী দল, দুই তরফেই এক অদ্ভুত যুক্তি উঠে এসেছে। তারা সমস্বরে বলেছেন, স্কুল খোলার দাবি তারা সংসদে উঠিয়েছেন, যাদের সন্তান নেই। যুক্তিটি যে কেবল অসার তাই নয়, হাস্যকরও বটে। তার মানে এই দাঁড়াল, এখন থেকে অপরাধের শিকার না হলে এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করা যাবে না!
শুধু সংসদে নয়, সংসদের বাইরে ও শিক্ষামন্ত্রী কিংবা সরকারের অন্য প্রতিনিধিরাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাবে কখনও সদুত্তর দিতে পারেননি। যখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা এসেছে; বারবার ছাত্র-শিক্ষকদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হয়েছিল। সমকালে আমার আগের কলামটিতে দেখিয়েছিলাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য টিকা দেওয়া কোনোভাবেই শর্ত হতে পারে না। টিকা দেওয়ার সর্বনিম্ন যে বয়স ১৮, সেটাও যদি নিশ্চিত করা যায় তবুও দেশের প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্ভব না। তাদের সবার বয়স বাই ডিফল্ট ১৮-এর নিচে।