জীবন ও অর্থনীতির জন্য সংকট
৪০০ বছর আগে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠেছিল নগর সভ্যতা। এখন এ নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার ৪২টি নর্দমা দিয়ে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য যাচ্ছে। নগরের ৭০ শতাংশ পয়ঃবর্জ্য চারপাশের চার নদীতে যাচ্ছে। এসব নদীতীরের দুই সহস্রাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নদীতে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানিদূষণের অন্যতম কারণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য। হাজারীবাগের ১৮৫টি চামড়া শিল্প কারখানা প্রতিদিন গড়ে ২১ হাজার ৬০০ ঘনমিটার অপরিশোধিত বর্জ্য নির্গত করত। এ বর্জ্য মূলত বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত করেছে। বেশিরভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত তরল বর্জ্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও বংশী নদীতে অপসারিত হচ্ছে। ১৮৫টি ড্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০ হাজার টন তরল ও কঠিন বর্জ্য নদীতে আসে। ট্যানারি এবং পয়ঃবর্জ্য ৬০ শতাংশ নদীদূষণের জন্য দায়ী। শিল্পবর্জ্য ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ১০ শতাংশ নদীদূষণের জন্য দায়ী।