এত উদ্যোগের পরও অস্থির চালের বাজার
চালের দাম কমাতে সরকার শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি খাতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে। গত ছয় মাসে বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় আট লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। সরকার নিজে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন আমদানি করে গত বছরের তুলনায় খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমসহ অন্যান্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাড়িয়েছে। এসব উদ্যোগের কোনো প্রভাব নেই বাজারে। চালের দাম কমছে না, বরং মাঝেমধ্যে বাড়ছে। চড়া দরেই চাল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। বাড়তি দরের কারণে করোনার মধ্যে গরিব মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
চাল ব্যবসায়ী, সরকারের সংশ্নিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের চড়া দামের কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, প্রকৃত উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য নেই। যে কারণে নীতি-উদ্যোগ ঠিকমতো কাজ করছে না। সরকারের হাতে যে মজুদ আছে, তা বাজারে হস্তক্ষেপ করার জন্য যথেষ্ট নয়। দেশের বাজারের সিংহভাগ সরবরাহ বড় ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া এবং ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কমছে না।