কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুঃসময়ে সবাই কেন পালায় নেতাকে ছেড়ে

বাংলাদেশ প্রতিদিন নঈম নিজাম প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

জ্যাকব জুমা নামে আফ্রিকান একজন নেতা আছেন। তিনি দীর্ঘদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বড় ব্যবসায়ী গুপ্তা পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের গভীর সম্পর্ক নিয়ে নানামুখী গুজব-গুঞ্জন ছিল। ক্ষমতা ছাড়ার পর গুজবের ডালপালা আরও বিকশিত হয়। জ্যাকব জুমার পুত্রও যোগ দিয়েছিলেন গুপ্তা গ্রুপে। এ গ্রুপ সরকারি অনেক বড় বড় কাজ করত। সবখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। এ নিয়ে বিতর্ক আমলে নেননি জ্যাকব জুমা। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। নানামুখী তদন্তের মুখোমুখি হন জুমা। গুপ্তা গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আদালত তলব করে জ্যাকব জুমাকে। কিন্তু আদালতে উপস্থিত হননি তিনি। বরং বললেন ক্ষমতাসীনরা শেষ বয়সে তাঁকে হয়রানি করতে নানামুখী কাজ করছে। কর্মী-সমর্থকরা নেতার কথা বিশ্বাস করলেন। কিন্তু বসে থাকল না আদালত। উপস্থিত না হওয়াকে অবমাননা হিসেবে নিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে রায় দিল জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে। ছোটখাটো কোনো রায় নয়, দুই বছর কারাভোগের নির্দেশ। এবার পরিস্থিতি অনুধাবন করে প্রবীণ এই সাবেক প্রেসিডেন্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। আদালত তাঁকে পাঠাল কারাগারে। ঘটনা এখানে থামলে কথা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন রাজনীতিবিদকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তাঁর সমর্থকরা।  ক্ষোভে ফেটে পড়ল গোটা আফ্রিকা। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, ভাঙচুর, লুটপাট চলতে থাকল। পুলিশ ব্যবস্থা নিল। তাতে মারা গেল ৭৯ জন। কিন্তু গুলি থামাতে পারল না কাউকে। থেমে থেমে প্রতিবাদ চলছেই। সাধারণ মানুষের এক কথা- অপরাধ প্রমাণের আগে এভাবে সাজা দেওয়া যায় না। আদালত দিতে পারে না। কারান্তরিন জুমা নিজের সমর্থকদের আবেগ-ভালোবাসায় বিমোহিত হলেন। তিনি হয়তো এতটা আশা করেননি। ভাবেননি তাঁর জন্য এত মানুষ আত্মাহুতি দেবেন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও