নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসেছেন আজীবন
টর্চের আলো দিয়ে কি সূর্যের বিশালত্ব, তার শক্তি কিংবা কীভাবে তার আলোর বিকিরণ হয়, তার পরিমাপ করা যায়? না, যায় না। মুর্তজা বশীর সম্পর্কে মূল্যায়ন একমাত্র ওই মাপের মানুষই করতে পারেন। তার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল একটা আকস্মিক ঘটনা। তার সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতাম না। শুধু জেনেছিলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন, আর প্রাচীন মুদ্রা তার আগ্রহের বিষয়।
কোনো একদিন তাকে চিঠি দিয়েছিলাম। অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে তার লেখা কয়েকটি চিঠি পেয়েছি। এর মধ্যে একটি চিঠিতে আমার জীবনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি লিখেছেন, কলকাতায় আসছেন, আমি যেন ১৯৯৩ সালের ১১ অক্টোবর কলকাতার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্সের (আইসিসিআর) দপ্তরে অবশ্যই তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি দক্ষিণ বাংলার শেষ মধ্যযুগের মন্দিরের ওপরে সমীক্ষা করবেন। দপ্তর থেকে বরাদ্দ করা যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানে আমাকে নিয়ে গেলেন। প্রাণ খুলে আলোচনা করলেন নানা বিষয়ে। আমাকে উপহার দিলেন তার সেই সময়ে প্রকাশিত গ্রন্থ 'আত্মপ্রতিকৃতি ১৯৫০-১৯৯৩'। তখন তার কাছে একটা ছোট্ট আবদার করলাম। বললাম, আমার একটা ছবি এঁকে দিন। তিনি রাজি হলেন। অনেকক্ষণ ধরে নানা দিক থেকে আমার মুখ দেখে ওই গ্রন্থেই আমার ছবি এঁকে দিলেন।