আগস্ট আতঙ্ক

বাংলাদেশ প্রতিদিন সৈয়দ বোরহান কবীর প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

আগামীকাল ১৫ আগস্ট। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ, দুর্ভাগ্যের দিন। আগস্ট এলেই এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়। অজানা শঙ্কায় বুক কাঁপে। এবার আগস্টে বেশি করে যেন শঙ্কার কালো মেঘ। কান পাতলেই ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যায়। আওয়ামী লীগ শুধু নয় বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে খোলামেলাভাবেই বলেন, আরেকটি আগস্ট ট্র্যাজেডির ষড়যন্ত্র চলছে। কদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়।’ আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচন হয়নি। আগস্ট ট্র্যাজেডি নিয়ে কোনো কমিশন গঠিত হয়নি। কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন মহল থেকে আগস্ট ষড়যন্ত্রে কার কী ভূমিকা তা খুঁজে বের করার দাবি উঠেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত বছর জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এবং এবারে শোকের মাসের প্রথম দিনে কৃষক লীগের অনুষ্ঠানে আগস্ট ট্র্যাজেডির ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার কথা বলেছেন। আগস্ট ষড়যন্ত্রের আনুষ্ঠানিক কমিশন না হলেও এ সময় বিভিন্ন ক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে এখন খোলামেলা কথাবার্তা হয়। সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে। জাতির পিতার হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের মতো একটা বড় দল নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকল কীভাবে? এ প্রশ্নটি এখন বড় করে সামনে আসে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এত বড় দল, এত নেতা, তারা কোথায় ছিল।’ আগস্ট ষড়যন্ত্র বিশ্লেষণ করলে চারটি বিষয় বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। প্রথমত, আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে বিভক্তি এবং আত্মতৃপ্তিতে ডুবে ছিল। দ্বিতীয়ত, ত্যাগী পরীক্ষিতদের দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয়ত, চাটুকাররা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে ফেলেছিল। চতুর্থত, অসত্য, মিথ্যাচার এবং নানা ঘটনা ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা সৃষ্টির এক পরিকল্পনার নীরব বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর এ চার কারণেই ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের পরও প্রতিবাদ হয়নি। ১৯৭৪ সালেই তাজউদ্দীন আহমদ ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। আওয়ামী লীগে কোন্দল ও মতানৈক্য প্রবল এবং প্রকাশ্য ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই দলের চেন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন। ছবিটি কথা বলছে যেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু। জাতীয় চার নেতা অনেক দূরে। খুনি মোশতাক যেন জোর করেই বঙ্গবন্ধুর অনেক কাছে। মোশতাকরা যখন কাছে আসে তখনই বিপদ বাড়ে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও