বর্ষা ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুল প্রচারিত ও পঠিত একটি কবিতাংশ দিয়েই শুরু করি, ‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।/কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।/রাশি রাশি ভারা ভারা/ধান কাটা হল সারা,/ভরা নদী ক্ষুরধারা/খরপরশা।/কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা- (সোনার তরী)’। এক ফোঁটা, আধ ফোটা কিংবা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো বা ঝুম বৃষ্টি বর্ষাকালের বৈশিষ্ট্য। প্রেম ও বিরহ- দুটিই চলে বৃষ্টিধারার সময়। কবিদের ক্ষেত্রেও তাই। ‘বৃষ্টি হচ্ছে’ শুনতে পেলেই কেমন যেন কৈশোর এসে গলা জড়িয়ে ধরে। ছেলেবেলা দানা বাঁধে স্মৃতিতে। বর্ষা কতই-না বিচিত্র! বিচিত্র কলধ্বনি সে ধারাপাতের। প্রতিটি অধোর রুপোর ফোঁটার মতো বৃষ্টি-জলকে আলাদা করে চিনে নিতে হয়। সোঁদা গন্ধ, প্রকৃতি রূপ, বৃষ্টিপতনে আশ্চর্য সংগীত ধ্বনিত হয় বর্ষামঙ্গলে। বাঙালি, যাকে বলে জন্ম রোমান্টিক।