কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাগুরায় হাসপাতালের বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন রোগীরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

মাগুরায় লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রোগী ধারণক্ষমতার বাইরে। শয্যায় সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন অনেকে। জানা গেছে, শালিখা উপজেলা ধনেশ্বরগাতি গ্রাম থেকে ১২ দিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর ঠাণ্ডা নিয়ে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন সুমন বিশ্বাস। হাসপাতালের বেড সংখ্যা না থাকায় রোগীর স্থান হয়েছে মেঝেতে। শুধু সুমন বিশ্বাস নয় অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। অনেকে আবার করোনা আক্রান্ত রোগীকে দেখতে আসছেন ছোট শিশু সঙ্গে নিয়ে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রোগীর স্বজনরা অবাধে চলাফেরা করায়  সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্স। তারা বলছেন, একজন রোগীর সঙ্গে দুই থেকে তিনজন ভিজিটর থাকে। এদের বেশির ভাগের মধ্যেই নেই স্বাস্থ্য সচেতনতা। গতকাল সরজমিন মাগুরা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের ভিড়। কেউ আছে হাসপাতালের বেডে, কেউ আছে মেঝেতে শুয়ে। শ্রীপুর উপজেলা নাঙ্গলবাধ থেকে দাদা, দাদিকে নিয়ে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন উজ্জ্বল শেখ। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ১০% ওষুধ দেয়। আবার বাকি ওষুধ আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হয়। অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা পারভীন বলেন, বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৯০ জন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৯ জন। তাদের সেবায় নার্স ৬ জন ও ডাক্তার রয়েছে ৫ জন। তিনি বলেন, হাসপাতালে অক্সিজেন পর্যাপ্ত রয়েছে। হাসপাতালে যে সকল ওষুধ সাপ্লাই আছে সেগুলো রোগীরা পেয়ে থাকে। সব রোগীরা খাবার পায়। মাগুরা সদর হাসপাতালে আরএমও বিকাশ কুমার শিকদার বলেন, রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছি। মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, হাসপাতালে রেড জোনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী এবং ইয়োলো জোনে প্রায় ৩০ থেকে প্রায় ৩৫ জন রোগী থাকছে। আমাদের কিছু কিছু রোগীর আইসিইউ সেবা দেয়ার  প্রয়োজন পড়ে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে আইসিইউ সেবা স্থাপিত হবে বলে আশা রাখছি। তবে দিন দিন হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে