কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেটে অপহরণের ১০ মাসেও উদ্ধার হয়নি শিশু সামিন

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

অপহরণের ১০ মাস পরও উদ্ধার হয়নি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সামিন আহমদ। দীর্ঘদিনেও সামিনের খোঁজ না পাওয়ায় কাঁদতে কাঁদতে পাগলপ্রায় মা সেলিনা বেগম। যেকোনো মূল্যে সামিনের জীবিত কিংবা মৃত সংবাদ শুনতে চান। ছেলেকে উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ কবচেও আস্থা রাখতে পিছপা হচ্ছে না তিনি। তার একটাই আকুতি সামিনকে ফিরে পাওয়া। শুধু সামিনের মা নয়, বাবা মো. মনসুর আহমদও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ছেলের সন্ধান করে যাচ্ছেন। বাড়ির একটি গাছের মালিকানা নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুধিষ্টিপুর (রাধনটিলা) গ্রাম থেকে মনসুর আহমদের ছেলে সামিন আহমদকে গত বছরের ৬ই সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার রাতেই স্থানীয় সকল মসজিদে মাইকিং, স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজিসহ ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ খবরে দু’দিন পর মনসুর আহমদের চাচাতো ভাই জামিল আহমদ গাছ ফেরত দিলে ভাতিজা সামিনকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। এ আশ্বাসে গাছ ফেরত দেয়া হলে ৯ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় মুরব্বিদের জামিল জানান- শাহ শারফিন মাজারের খাদেম রেনু মিয়ার কাছে গেলে সামিনের সন্ধান মিলবে। কথা অনুযায়ী মাজারে গিয়েও পাওয়া যায়নি সামিনকে। এভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে ১৯শে সেপ্টেম্বর জামিল আহমদ ও রেনু মিয়ার নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ জনকে আসামি করে মামলা করেন মনসুর আহমদ। মামলার পর পরই পুলিশ জামিল ও রেনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সামিনকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনায় প্রায় ২ মাস পর মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তরিত হয়। প্রায় ৬ মাস কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসে জামিল ও রেনু মিয়া। জামিনে বের হওয়ার পর চলতি বছরের ২৮শে মার্চ মনসুর আহমদের বাড়ির সামনে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। অন্যথায় ছেলে সামিন আহমদের মতো লাশ গুম করার হুমকি দিলে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় ৩রা এপ্রিল সাধারণ ডায়েরি করেন। অপহৃত সামিনের পিতা মনসুর আহমদ জানান, তার ছেলে সামিন আহমদ উসমান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গাছ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সামিনকে অপহরণ করা হয়। প্রশাসনের কাছ থেকে প্রথম দিকে সহায়তা পেলেও পরবর্তীতে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না। আত্মস্বীকৃত অপহরণকারীরা যেকোনো কৌশলে তদন্তকারীদের ম্যানেজ করে নেয়ায় বর্তমানে তারা আতঙ্কে আছেন। পাশাপাশি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের বর্তমান আচার-আচরণ হতাশাজনক। অনেক সময় মনে হয় উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি করছেন কেউ কেউ। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে আমার ছেলের সন্ধান চাই। হোক জীবিত কিংবা মৃত। ছেলে সামিন অপহরণের পর থেকে পাগলপ্রায় পরিবারের সকল সদস্য। অপহৃত সামিনের মা সেলিনা বেগম বলেন, গত ১০ মাসে নানাভাবে হয়রানি করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা আমাদের ওপর দোষ চাপানোর পাঁয়তারা করছেন। প্রভাবশালী আসামিদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। যেকোনো মূল্যে ছেলেকে জীবিত কিংবা মৃত উদ্ধার করে দেয়ার জন্য দাবি জানান তিনি। স্থানীয় মুজিবুর রহমান মান্না জানান, সামিনকে অপহরণের পর মুরব্বিদের বাড়িতে গিয়ে গাছ পেলে সামিনকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয় মামলার প্রধান আসামি জামিল আহমদ। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের কাছেও এমন কথা বলেছে। জেল থেকে বেরিয়ে এখন সামিনের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান বলেন, মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। এখনো সামিনকে উদ্ধার করা যায়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে