কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উপহারের ঘরে ৭ মাসেও বিদ্যুৎ পায়নি উপকারভোগীরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ঘর ছিল না। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। এখন জমি পেয়েছি। ঘরও পেয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ পাইনি আমরা। এমনটিই জানালেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া বড়লেখার উপকারভোগীরা। জানা গেছে, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ (‘ক’ শ্রেণি) পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ২৩শে জানুয়ারি ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ১৫টি ঘর পড়েছে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমনগর গ্রামে পিডিবি’র আওতাধীন এলাকায়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের ঘরে ওঠার প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ঘরগুলোতে আজও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ফলে দুর্বিষহ গরমের দুর্ভোগ নিয়ে কোনোমতে তারা বসবাস করছে। অথচ তাদের ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের অফিসিয়াল নির্দেশনা রয়েছে। কাশেমনগর গ্রামের দরিদ্র উপকারভোগী মনি বেগম, ফাতির আলী, সাহাব উদ্দিন, ছলিম উদ্দিন, লিপি বেগম, নাসিমা বেগম, নাজমা বেগমসহ অনেকেই জানান, প্রায় ৭ মাস আগে নির্মিত ঘরগুলো তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় তারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, কর্মকর্তারা এসে শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। ধার-দেনা করে আমরা ঘরে ওয়ারিং সম্পন্ন করেছি। প্রায় ৪ মাস আগে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য স্থানীয় আবুল মিয়া নামক প্রাইভেট লাইনম্যানের মাধ্যমে পিডিবি’র কুলাউড়া অফিসে আবেদনপত্র পাঠিয়েছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। আমরা গরিব মানুষ। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ঠিকমতো ভাতই খেতে পারছি না। তাদেরকে উপরি টাকা কিভাবে দেবো। এজন্যই পিডিবি’র লোকজন আমাদের বিদ্যুৎ দেয়ার ব্যাপারে খোঁজখবরই নিচ্ছে না। পাকা ঘর করে দেয়ায় উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, দুর্বিষহ গরমে বিদ্যুৎহীন ঘরে বসবাস করা তাদের কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা নিতে তার দপ্তর থেকে ১২ই জুলাই তালিকাসহ পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় ৩১শে জুলাই পুনরায় তাগিদপত্র পাঠান। কিন্ত তাপরও কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যা খুবই হতাশাজনক। বিষয়টি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করেছেন। পিডিবি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জুড়ী সাইট অফিস) আনছারুল কবীর শামীম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এখানকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা নিতে পিডিবি’র প্রকল্প বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনিসহ প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখানে বিদ্যুৎ দেয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত