কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চলনবিলে ৫ গ্রামের দুঃখ ৪ কিলোমিটার রাস্তা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০

সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের তাড়াশ-নিমগাছি পাকা রাস্তার ধানকুণ্ঠি (সরাতলা) থেকে মাধাইনগর পর্যন্ত চার কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও পাকা না হওয়ায় ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তর পুর্ব দিকের শুভার, মাদার জানি, ঠাকুরপুকুর ও বুড়াপীরসহ ৫টি গ্রাম অবস্থিত। এসব গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া কাচা সড়কটি দীর্ঘদিনেও পাকা করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে  কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই আদিবাসী ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটে বাজারে নিয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বহনে গুনতে হয় তিন গুন ভাড়া। সড়কের পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ও রোগীদের হাসপাতালে আশা্‌-যাওয়ায় কষ্টের শেষ থাকে না। মাদারজানী  গ্রামের মো. আবুল বাশার সরকার  জানান, আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। কিন্তু সেই উৎপাদিত কৃষিপণ্য  বিক্রি করতে গেলে আমরা বাজার মুল্যের চেয়ে কম পাই। আমাদের অধিক গাড়িভাড়া দিয়ে ধান হাটে নিতে হয়। তিনি আরও জানান, গত বছর এলাকার জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ওই রাস্তা সংস্কার করেছিল এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিসে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য আবেদন করেছিলো। তখন আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও তার কোন খবর নেই। সুভার গ্রামের এনামুল জানান, নির্বাচনের সময় সকল এমপি ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বারবার রাস্তাটি পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কারো মনে থাকে না। মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো.  সেরাত আলী জানান, ওই কয়েকটি গ্রামের মানুষের বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের খুব কষ্ট হয়। বিশেষ করে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে অধিক ব্যয় করতে হয়। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে আমার জানা নেই, দেখতে হবে। তবে যদি আইডি নম্বর পড়ে থাকে তবে পাকাকরণ কাজ হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে