কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৭ বছর অকেজো চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০

প্রায় ১৭ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশাল জেনারেটরটি। ফলে জেনারেটরের ব্যাটারিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারিভাবে  জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় জেনারেটরটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে, বিদ্যুৎ চলে গেলেই অন্ধকারে পড়তে হয় রোগীদের। অনেকে আলো জ্বালানোর ভরসা হিসেবে ব্যবহার করেন মোমবাতি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ৪০ কেভির এই জেনারেটর বরাদ্দ দেয়। এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ টাকা। এছাড়া বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ মোট ব্যয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। জেনারেটরের ক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোক্তার হোসেন বলেন, ৪০ কেভির (কিলো ভোল্ট) এই জেনারেটরে ২৫-৩০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এদিকে, জেনারেটর স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল লোডশেডিংয়ের সময় অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র ৫০ শয্যার এই হাসপাতালের সকল শাখায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যাতে রোগীদের ওয়ার্ড ও জরুরি অপারেশন কাজে বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবে এটি চালানো যাচ্ছে না। ফলে এটি রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর জন্য লোকবলও নেই। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় জেনারেটরের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে। সরজমিনে কয়েকদিন সন্ধ্যার পর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। বেশিরভাগ শয্যার পাশে খাদ্যের পাশাপাশি দিয়াশলাই ও মোমবাতি রাখা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীরা জানালেন, লোডশেডিংয়ের সময় রোগীর ওয়ার্ডসহ অন্যান্য বিভাগে ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন রোগীর আনা মোমবাতি কিংবা মোবাইল ফোনের আলো একমাত্র ভরসা। মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ফুলছড়ি উপজেলার রাওথা গ্রামের রুনা বেগম (৩৮) বলেন, গরমের সময় কোনো কারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন টয়লেটে গেলে দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা কী জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শহিদুল ইসলাম রবিন বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আপাতত নেই। মোমবাতি কিংবা টর্চের আলোই ভরসা। জেনারেটর চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ কী জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, জেনারেটরটি চালু করতে প্রায় ৩০ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হয়। যা প্রচুর ব্যয়বহুল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এতো পরিমাণ তেল কেনার কোনো তহবিল নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে