করোনার উপসর্গ নিয়ে গ্রামে মৃত্যু বাড়ছে
বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকে৷ মৃতের সংখ্যা বাড়লেও পরীক্ষা না হওয়াতে করোনার সরকারি পরিসংখ্যানে তা উঠে আসছে না৷ যে কারণে গ্রামের মানুষ পরিস্থিতি আঁচ করতে পারছেন না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কুয়াতপুর গ্রামের বাসিন্দা বাটুল বিশ্বাস৷ বয়স ৫৫৷ ঈদের আগের দিন ২০ জুলাই নিজ বাড়িতে মারা গেছেন তিনি৷ মৃত্যুর আগে শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশিসহ করোনার নানা ধরনের উপসর্গ থাকলেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি৷ গ্রামের লোকেরা বলছেন, ‘‘বর্ষাকালে জ্বর, কাশি সবারই হয়৷ এটা তেমন কিছু নয়৷’’
শুধু বাটুল বিশ্বাসই নন, গ্রামাঞ্চলে করোনার উপসর্গ নিয়ে এমন অনেকেই মারা যাচ্ছেন৷ আর গত কয়েক সপ্তাহে গ্রামাঞ্চলে এমন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে৷ তবে করোনায় মৃত্যু তালিকায় তাদের নাম আসছে না৷ শুধু যারা হাসপাতালে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন, সেই সংখ্যাটিই করোনায় নিহত বলে লিপিবদ্ধ হচ্ছে৷
মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গত ২৩ দিনে মাগুরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২০ জনের মতো৷ আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন৷ যেটা অন্য যেকোন জেলার তুলনায় কম৷’’