আকবর মিয়া গার্মেন্টে চাকরি করেন। কঠোর লকডাউনেও গার্মেন্ট চালু রেখেছে মালিক সমিতি। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো রিকশায় করে যাচ্ছেন তিনি। বেতনের টাকা পথেই চলে যাচ্ছে। রিকশায় ত্রিশ টাকার ভাড়া দেড়শ টাকা। এরপর খাওয়া-দাওয়া আছে, ঘরভাড়া আছে। ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
এসব মেনে নিলেও ঈদের সময় বাড়ি না যাওয়াটা আকবর মিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। পরিবার থাকে গ্রামে। ছেলেমেয়ে আছে। আছে বুড়ো বাবা-মা আর বউ। তাদের মুখের হাসি আকবর মিয়ার কাছে শত মাসের বেতনের চেয়ে দামি। পথের ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে যেভাবেই হোক বাড়ি তাকে যেতেই হবে।
এমন অনেক আকবর মিয়া, কুলসুম, রাহেলা, কমলা আর মিরাজের মতো মানুষ কাজ করছেন আমাদের শহরগুলোতে। তারা পরিবারের টানে ঈদে গ্রামে ফিরবেন, পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করবেন, এটাই স্বাভাবিক।