সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশ বিভাগের পর থেকে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রশ্নে যে সংঘাত দেখা দেয় এবং তা থেকে যে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সৃষ্টি, তার মধ্যেই বাংলাদেশ আন্দোলনের বীজ সুপ্ত ছিল। অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জন্য সূচিত আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অঞ্চলের মানুষ স্বদেশকে আবিস্কার করতে সক্ষম হয়। যে স্বদেশ আর মাতৃভূমির নাম বাংলাদেশ। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এ ভূখণ্ডের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা অংশত প্রগতিশীল ভাবধারায় প্রভাবিত ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক ও আন্তর্জাতিক চেতনাবোধ এ আন্দোলনের বড় উপাদান।
যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ দেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের উতলা করে তোলে। সৃষ্টি হয় নতুন দায়িত্ববোধ। ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনে অগ্রসর হন শিল্পী-সাহিত্যিকরা। শুরু হয় চল্লিশ দশকে সংঘবদ্ধ সমাজ-সচেতন সাংস্কৃতিক আন্দোলন। বিভাগউত্তর পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আন্দোলন এই প্রগতিশীল আন্দোলনেরই উত্তরাধিকার। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।