কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভোটের মাঠ ছাড়লেন না কেউ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

সিলেটে ভোটের মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালেন না কেউ। চার প্রার্থীই হয়েছেন চূড়ান্ত লড়াইয়ে। যার যার অবস্থান থেকে সবাই লড়াইয়ের আভাস দিয়ে যাচ্ছেন। ঘর গোছানোর প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত। এখন কেবল মাঠের খেলা। শুরু থেকেই নানা নাটকীয়তায় ভরপুর সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন। নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অন্যদের চেয়ে তরুণ প্রার্থী। তিনি নিজেও সেটি স্বীকার করে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভোটযুদ্ধে তার মুখোমুখি  হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ও বর্তমান বহিষ্কৃত নেতা শফি আহমদ চৌধুরী। বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছেন জুনায়েদ মিয়া। নির্বাচন কমিশনে আতিকের আপিলের আবেদন নাকচ হওয়ার পর এখন সব প্রার্থীই এলাকামুখী। সিলেটে ফিরে নির্বাচনে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা আছে আতিকের। সামনে কী হয়- এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন ভোটাররা। সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওইদিন কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে চারজন প্রার্থী এ আসনের উপনির্বাচনে লড়ছেন। আজ সকালে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে। এরপর তারা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এজন্য তিনি প্রার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে- এ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা পেয়ে নির্ভার আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। এক যুগ আগে থেকেই তিনি নৌকার জন্য লড়াই করছিলেন। তার পক্ষে মাঠেও একাট্টা সিলেটের আওয়ামী লীগ। পূর্বের মতো গ্রুপিং নেই ওই তিন উপজেলায়ও। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও নিজেদের মধ্যে ঐক্যর বিষয়টি মনিটরিং করছেন। ফলে হাবিবের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকায় প্রচারণার শুরু থেকে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে নামছেন হাবিব। জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী। জানিয়েছেন- সিলেট-৩ আসনকে একটি উন্নত, মডেল আসনে রূপান্তরিত করতে চান। সেই লক্ষ্যে তিনি সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবে ভয় অপর তিন প্রার্থীর। ফলে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধের আগে তারা অন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের আইনি প্যাঁচে ফেলে হাবিবকে মাঠ থেকে সরাতে চেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক। এটিকে তিনি নির্বাচনী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেও তার আবেদন টিকেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবকে বৈধ ঘোষণা করেছেন। আতিক এখনো পিছু ছাড়ছেন না। উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে তার। কী কারণে এবার এত ব্যাকুল আতিকুর রহমান আতিক- তার উত্তর খুঁজে পাওয়া গেল তার মুখ থেকে। জানালেন- ’৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। একটিবার জয়ের মুখ দেখিনি। বয়স ৭০ হয়ে গেছে। হয়তো এটা শেষ নির্বাচন। এ কারণে শেষবারের মতো সিলেট-৩ আসনের মানুষের সমর্থন চাই।’ এ আসনের উপনির্বাচনে সব উত্তাপ-উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। হঠাৎ করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন এ আসনে। দল থেকে বহিষ্কার হলেন। তার দাবি- ভোট ব্যাংক রয়েছে এলাকায়। মানুষের চাপে পড়ে এসে প্রার্থী হয়েছেন। ৮২ বছর বয়সী শফি আহমদ চৌধুরী দুই ইস্যুতে এবার নির্বাচন করছেন বলে জানান। এরমধ্যে একটি হচ্ছে- সিলেট-৩ আসনের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেয়া ও অপরটি হচ্ছে একটি উন্নতমানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা। এই দুই কাজ করতে পারলে তার সার্থকতা পূরণ হবে বলে জানান। বিএনপি নেই সঙ্গে, কী করে নির্বাচন সামলাবেন প্রশ্নের জবাবে শফি চৌধুরী বলেন- ‘যেদিকে যাচ্ছি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। মানুষ তো আমার পরিচিত। তারা আমাকে চিনে, আমিও তাদের চিনি।’ এ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছেন জুনায়েদ মিয়া। তিনিও চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধে নামার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত