কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাবিপ্রবিতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিত, কর্মবিরতিতে কর্মকর্তারা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০০:০০

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে অফিসার্স এসোসিয়েশন এর নেতারা চাঁদা না পেয়ে তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে প্রধান প্রকৌশলীর অব্যহতি দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন। প্রকৌশল দপ্তর ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।পাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিজয় কুমার ব্রহ্ম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের পত্রই আমরা পেয়েছি। প্রকৌশল দপ্তরের লিখিত পত্রে বলা হয়েছে, গত ১৫ই জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে তার কক্ষে গিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। তার গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। পিকনিকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের নিকট থেকে চাঁদাবজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগগুলি স্পর্শকাতর হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং আমাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল আলম, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।এদিকে, গতকাল পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ রেজিস্ট্রার অফিস ঘেরাও করে। তারা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিজয় কুমার ব্রহ্মকে বের করে দিয়ে তার কক্ষে তালা দিয়েছে। এ সময় প্রধান প্রকৌশলীর অব্যহতি দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে। কর্মবিরতির কারণে গতকাল ক্যাম্পাসে কোনো কাজ হয়নি।পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনর রশিদ ডন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের অর্থ অপচয় রোধ ও চলমান ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম এবং সেসব অনিয়মের বৈধতা দিতে ভুয়া বিল ভাউচারে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরে বাধ্য করার প্রতিবাদে আমরা প্রধান প্রকৗশলী আমিনুল ইসলামের অব্যহতি চেয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা রোববার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছি।এ ব্যাপারে পাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী জানান, ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে