করোনা কেড়েছে বাবা-মাকে, সদ্যোজাত ভাইয়ের অভিভাবক ৭ বছরের কৃষ্ণা
আর পাঁচটা শিশুর মতোই সাধারণ ছিল তাঁর জীবন। লকডাউনে সে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল বটে। তবে ঘরেই খেলাধুলো এবং অনলাইন ক্লাস করে দিন কাটছিল। এরই মধ্যে ছোট ভাইয়ের জন্মানোর খবরে বেশ খুশি হয়েছিল সাত বছরের কৃষ্ণা। রাতারাতি যে জীবন বদলে যেতে পারে, সে কথা কল্পনাও করতে পারেনি সে। কৃষ্ণার মা স্মিতা পাণ্ডা কটকের আচার্য্য হরিহর রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টারে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাবা কমলেশ পাণ্ডা রেল কর্মী।
গত ৯ এপ্রিল ন' মাসের গর্ভবতী স্মিতা জানতে পারেন যে তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। কটকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সাতদিন পর পুত্র সন্তানের জন্ম দেন স্মিতা। শিশুটির করোনা পরীক্ষা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে এর সাতদিন পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্মিতা।