কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ধর্ষণ মামলার আসামিকে পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী। আজ দুপুরে জেলা শহরের একটি রেস্তুরাঁয়  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নির্যাতিত ওই নারী। তিনি বলেন, আমি ঠাকুরগাঁও জেলার একজন নিরীহ নির্যাতিতা নারী। নার্সিংয়ের ওপর ডিপ্লোমা শেষ করে প্রায় তিন বছর আগে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার নিউ পপুলার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নার্সের চাকরিতে যোগদান করি। চাকরি শুরু করতে না করতেই ওই ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলাম বিবাহের তথ্য গোপন করে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তা আমি বারবার প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে কৌশলে ক্লিনিকের একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষক করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু বছর যাবৎ মেলামেশা করে। পরবর্তীতে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আমি আইনগত ব্যবস্থার জন্য পরিবারের ও স্বজনদের পরামর্শ নেই। তা জানতে পেরে সাইফুল ও তার স্ত্রী আমাকে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন করে ক্লিনিকের বাইরে ফেলে দেয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সুস্থ হয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিলে সাইফুল আবারো কৌশল খাটিয়ে গত ৩১শে মে বিয়ের আলোচনার কথা বলে ঠাকুরগাঁও শহরের টিকাপাড়াস্থ তার ভায়রা আলমগীরকে দিয়ে সন্ধ্যায় আমাকে ডেকে নেয়। সেখানেও সাইফুল একটি কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং দুই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। আমি রাজি না হলে সাইফুল তার ভায়রা আলমগীরসহ পরিবারের লোকজন বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে এসআই আব্দুস সামাদ শুরুতে আমাকে মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখান। পরে আমার পরিবার ও স্বজনরা উপস্থিত হলে আমার করা এজাহার ফেলে রাখে। এসময় আমাকে অভয় দিয়ে তিনি নতুন করে এজাহার লিখবেন বলে চারটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে একটি  মামলা করা হলেও সেখানে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি। পরে আমি জানতে পারি এসআই সামাদ আসামিদের নিকটাত্মীয়। এসআই সামাদ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আসামিদের গ্রেপ্তার না করে জামিনে সহযোগিতা করেন। আমি ওই মামলায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গত ৭ই জুলাই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সাইফুল, বিউটি আক্তার, আলমগীর ও বিলকিস এর নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করি। আমি নরপশু সাইফুলসহ সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। সেই সাথে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেন এই অন্যায় কাজটি করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে মামলা পরিচালনার জন্য জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে