ফোন না-থাকলে পড়া হবে না? প্রশ্ন ছাত্রীর
অনলাইন ক্লাস নিচ্ছিলেন মাস্টারমশাই। হঠাৎই ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল প্রশ্ন: ‘স্যর, আমার বাবা নেই। মা কিছু করতে পারে না। মোবাইল ধার করে পড়ছি। আমার মতো যাদের অবস্থা, তারা কী করে ক্লাস করবে স্যর?’ দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী, সাগরিকা রায়ের প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাননি দু’দশক ধরে শিক্ষকতা করা মানুষটি।
জলপাইগুড়ি পূর্বাঞ্চল হাইস্কুলে পড়ে সাগরিকা। তার জন্মের আগে বাবা ছেড়ে চলে যান। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে বরুয়া পাড়ায় মামাবাড়িতেই মানুষ হচ্ছে সে। মা লজ্জা রায়ের শরীর ভাল নয়। ধান বোনা, পাট কাটা বা আলু তোলার মরসুমে তিনি মাঝে মাঝে দৈনিক মজুরিতে কাজ পান। কিন্তু তাতে সংসারই চলে না তো মোবাইল ফোন কেনা! শেষে পাড়ার এক দিদির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তার নম্বর দিয়েছে স্কুলে। সেই মোবাইলেই ক্লাস করে।