কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেটে ইয়াবা হেলাল জেলে

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

সিলেটের লালাবাজারের কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় হেলালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কুপিয়েছিল এলাকার রফিক উদ্দিনের পরিবারের ৫ সদস্যকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার আসামি হেলাল উদ্দিন, বেলাল আহমদ ও নুরুল ইসলাম গতকাল দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানায়। এ সময় আদালত হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামি বেলাল আহমদ ও নুরুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শামীম হাসান চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘জামিন শুনানি শেষে আদালত হেলাল উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। তবে, অপর দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন।’ সিলেটের লালাবাজারের কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন। বাড়ি লালাবাজারের পার্শ্ববর্তী ভালকি বিলপাড় গ্রামে। তার গোটা পরিবারই মাদকের সঙ্গে জড়িত। সন্ধ্যা নামলেই তার মাদক আস্তানায় ভিড় জমে ইয়াবাসেবীদের। এ নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তারা জানিয়েছেন, গত দু’বছরে দুইবার মাদক বিক্রি বন্ধ করতে এলাকার লোকজন বৈঠক করেছিলেন। তার পিতা মছব্বির মিয়াসহ স্বজনদের ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছিল। এতেও কোনো কাজ হয়নি। বরং গ্রামের ভেতরে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসা ইয়াবাসেবীদের ভিড় লেগেই আছে। সম্প্রতি হেলাল মিয়ার মাদকের আড়তে চোখ পড়েছে পুলিশের। এ কারণে কয়েক দফা অভিযান চালালে হেলাল তারই চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী রফিক মিয়ার বসতঘরকে ইয়াবা রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তার এই প্রস্তাবে রাজি হননি রফিক মিয়া। বরং ইয়াবা বিক্রি ছেড়ে দিতে হেলাল উদ্দিনকে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় হেলাল ও তার পরিবার। মামলার বাদী রফিক উদ্দিন জানিয়েছেন, ইয়াবা ব্যবসার প্রতিবাদ করায় হেলাল ও তার সহযোগী নুর ইসলাম, বেলাল, মিসবাহ, দিলাল, ফয়জুলসহ কয়েকজন তার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তার ভাই সুমন মিয়া গালিগালাজ শুনে ঘর থেকে বাইরে বের হলে হেলাল ও তার সহযোগীরা দা, রামদা দিয়ে সুমনের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তার অপর ভাই সানুর মিয়া, ভাগনি লিপি বেগম, মনি বেগম, ভাগিনা আলী রাজ ও বোন হাওয়া বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও কোপানো হয় এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে