কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিচারিক ক্ষমতা হারাচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেট

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

চার শিশুকে প্রিজন ভ্যানে করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো বরিশালের বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ঘটনায় জড়িত থাকা বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া, সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং শিশু আইনে পুলিশের ভূমিকা কী থাকবে সেটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত।আদালতে চার শিশুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম, তার সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পরে জামিউল হক ফয়সাল বলেন, চার শিশুকে প্রিজন ভ্যানে করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো বরিশালের বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনায় জড়িত থাকা বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  এ ছাড়া, সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং শিশু আইনে পুলিশের ভূমিকা কী থাকবে সেটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত। এই মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট যুগান্তকারী জাজমেন্ট দিয়েছে। গত বছরের ১১ই অক্টোবর, চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশদানকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ এবং ওই শিশুদের গ্রেপ্তার করে থানায় মীমাংসা না করে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়ায় বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভৎসনা করেছিল হাইকোর্ট। ওই দিন চার শিশুকেও খাস কামরায় নিয়ে তাদের বক্তব্য শোনে আদালত। পরে চার শিশুর বিরুদ্ধে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি চার শিশুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিতে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে নির্দেশ দেয়া হয়।জানা যায়, ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে আসামি করে গত বছরের ৬ই অক্টোবর মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৭ই অক্টোবর বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ’র আদেশে চার শিশুকে যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়। এই সংবাদ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসে ৮ই অক্টোবর রাতে। এরপর রাতেই বিচারপতিদ্বয় নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে ভার্চ্যুয়াল আদালত বসিয়ে আদেশ দেয়। আদেশে ওই রাতেই চার শিশুর জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারকের প্রতি নির্দেশ দেয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার রায় প্রদান করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে