কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গার্ড অব অনারে নারী ইউএনও’র বিকল্প চায় সংসদীয় কমিটি

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

মৃত্যুবরণকারী (শহীদ) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানে নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিকল্প চায় সংসদীয় কমিটি। কমিটি এক্ষেত্রে যেসব জায়গায় নারী ইউএনও রয়েছেন, সেখানে পুরুষ কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করার কথা বলেছে। পাশাপাশি গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ ?সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মহিলা ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। মহিলারা তো জানাজায় থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে মহিলা গার্ড অব অনার দেন এ রকম একটি ব্যাপার আর কি। সেজন্য এ বিষয়ে বৈঠকে একটি প্রস্তাব এসেছে। মহিলার বিকল্প একজন পুরুষকে দিয়ে গার্ড অব অনার দেয়ার বিষয়টি এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে এটা পরীক্ষা করে দেখতে বলেছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং মহিলা ইউএনও’র বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘জিয়া শিশুপার্ক’র স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি বলেন, সার্কিট হাউজের সামনের যে জায়গাটিতে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেখানে জিয়াউর রহমান শিশুপার্ক করা হয়েছে। আমরা সেখানে আত্মসমর্পণের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের সুপারিশ করেছি। আমরা বলেছি, সেখানে যে কক্ষটিতে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, সেটা সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু শিশুপার্কের স্থলে স্মৃতিস্তম্ভ হবে। বৈঠকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনে অনুষ্ঠান নির্ধারণের লক্ষ্যে সভাপতিকে আহ্বায়ক করে একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।  বৈঠকে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’ এর তহবিল গঠনের সময় কোন কোন উৎসকে নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার বিস্তারিত আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া নির্ধারিত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ওষুধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীতকরণ এবং বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যে করার বিষয়ে সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কিছু জায়গায় বিভিন্ন দিবসে স্বাধীনতাবিরোধীদের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কিত ঘটনা সমাধানের লক্ষ্যে সমস্যার বিবরণীর একটি সারসংক্ষেপ ক্যাবিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা সংগ্রহ ও চিহ্নিত রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে বৈঠকে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে