কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্লিনকেন ব্যস্ত, দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা ও এলডিসি বিষয়ক বহুপক্ষীয় দুটি আয়োজনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। জাতিসংঘ সাধারণ  পরিষদের সভাপতি ভলকান বাজকির অনুষ্ঠান দুটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইটে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে মন্ত্রী নিউ ইয়র্ক পৌঁছাচ্ছেন। সোমবার থেকে তার সফরের কর্মসূচি শুরু হবে। পূর্বনির্ধারিত দুটি সভায় যোগ দেয়া ছাড়াও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ, সাধারণ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি ভলকান বাজকির, শান্তিরক্ষা মিশন এবং জাতিসংঘের রাজনীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওদিকে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ওয়াশিংটন যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের অ্যাপয়েনমেন্ট চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। টিকা নিয়ে আলোচনাই তার ওই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ওই সময়ের সেক্রেটারি অব স্টেটের শিডিউল খালি নেই। তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকবেন। ফলে মন্ত্রী মোমেন যদি বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তাহলে সাক্ষাতের একটি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মানবজমিনকে বলেন, দেশে সংসদ অধিবেশন চলছে তাই আমাদের দ্রুত ফিরতে হবে। বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারছি না। প্রাথমিক পরিকল্পনা মতে, ২০শে জুন পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবো। ওই সময়ের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার চেষ্টা করবো। ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র গতকাল মানবজমিনকে বলছে, দূতাবাসের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। কিন্তু ২০শে জুনের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শিডিউল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সেগুনবাগিচার একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকা ফিরবেন মন্ত্রী মোমেন। সে ক্ষেত্রে তার প্রস্তাবিত ওয়াশিংটন সফর বাতিল করা হবে। উল্লেখ্য, ঢাকা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি আমাকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। আমি তা গ্রহণ করেছি। এবারে নিউ ইয়র্কে দুটো বড় ইস্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া গেল। আগামী ১৫ই জুন জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে অংশ নেবো। পরবর্তীতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত আরেকটি বৈঠকেও যোগ দেবো। সেখানে বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কথা বলবো। রোহিঙ্গা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে, এটা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) যৌথভাবে একটি বড় আয়োজন করেছে। সেখানে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে। আমি তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবো এবং প্রত্যাবাসন শুরুর ক্ষেত্রে সহায়তার আহ্বান জানাবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত