কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ধূর্ত বানর শেয়াল পোষা সরকারের কাজ নয়

বাংলাদেশ প্রতিদিন পীর হাবিবুর রহমান প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২১, ০০:০০

অবশেষে রোজিনা ইসলামের জামিনে স্বস্তি নেমে এলো। রোজিনা কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়, একজন সাহসী জাঁদরেল অনুসন্ধানী সফল রিপোর্টার হিসেবে পাঠকই নয়, সাংবাদিক সমাজের হৃদয়ও জয় করেছিলেন। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ চিত্র তিনি দিনের পর দিন তুলে এনেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের সংশোধন ও অনিয়ম থেকে মুক্ত না করে রোজিনাকে শায়েস্তা করতে গিয়ে আরও লেজেগোবরে অবস্থা করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একদল ঔদ্ধত্যপরায়ণ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর বিকৃত চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। তাদের সীমাহীন বাড়াবাড়ি সীমানা অতিক্রম করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গেছে। একদিকে মামলা, আরেকদিকে সচিবালয় বিটের সংবাদকর্মীদের বয়কটের মুখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্যের মিল নেই। একটা জোর প্রতিবাদের মুখে রোজিনার প্রতিষ্ঠান যে অজুহাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিকৃত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে তা কেবল রোজিনার প্রতি যে অপমান-নিপীড়ন হয়েছে তারই বৈধতা দেওয়া হয়নি প্রচ- শক্তিশালী প্রতিবাদকেও অপমান করা হয়েছে। যেভাবে রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নাজেহাল করা হয়েছে, নিপীড়ন করে থানায় দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানো হয়েছে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বীভৎস দুর্নীতির চিত্র ঢাকা পড়েনি। সরকারের ইমেজও ক্ষুণœ হয়েছে। সব মহলেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি ঠাঁই পাওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাযথই বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার রাতে রোজিনা মুচলেকা দিয়ে চলে যেতে চাইলেও যারা বাহাদুরি করে যেতে দেননি তাদের মগজে কী আছে আল্লাহ জানেন। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমের সামনে এসে যা বললেন তাতে মানুষ এখন আর বিরক্ত বা রাগ করে না। বিনোদনের নতুন মাত্রা পায়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি সচিবের পিএসের টেবিলে উন্মুক্ত ফেলে রাখা হয় এটাও এবার দেশবাসী যেমন জানল তেমনি জানল ব্রিটিশ এখন যে আইন ব্যবহার করে না সেই ১৯২৩ সালের কালো আইনে মামলা করে আমরা জানিয়েছি এখনো ঔপনিবেশিক আইনের শৃঙ্খল থেকে বের হতে পারিনি। যাক, রোজিনা একজন সংবাদকর্মী আর একজন সংবাদকর্মীর জন্য এবার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিকদের প্রতিটি সংগঠন জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, মানববাধিকার সংগঠন, রাজনৈতিক শক্তি এক কথায় মানুষ শক্তিশালী প্রতিবাদ করেছে। সরকারের রাজনৈতিক মন্ত্রী এবং নেতারাও বিষয়টি বিলম্বে হলেও বুঝেছেন এবং ইতিবাচক মনোভাব থেকে বলেছেন, রোজিনা ন্যায়বিচার পাবেন। রোজিনা জামিন পেয়েছেন। তার প্রতি যারা মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছেন তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও