সংবেদনশীলতার এতটা ঘাটতি কেন
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার সত্তরোর্ধ্ব হোসিয়ারী শ্রমিক ফরিদ আহম্মেদ খান। কিন্তু চার তলা বাড়ির মালিক হওয়ার কথা বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাকেই উল্টো ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সাজা দিয়েছেন।
তবে বাস্তবে ফরিদকে কোনোভাবেই সেই বাড়ির মালিক বলা যায় না। ছাদে দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। বাড়ির অন্যান্য ফ্ল্যাটে তার পাঁচ ভাই ও এক বোন বসবাস করেন। ফরিদ হোসিয়ারী কারখানায় কাজ করে মাসে সাকুল্যে ১০ হাজার টাকা আয় করেন। স্ত্রী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। মেয়ের গয়না বন্ধক রেখে ও ঋণ করে শনিবার ইউএনওর উপস্থিতিতে জরিমানার খাদ্য বিতরণ করেছেন ফরিদ।