একজন রোজিনা ইসলাম ও প্রিজন ভ্যানে সাংবাদিকতা!
একবার ভাবুন। একজন অতিরিক্ত সচিব দেশসেরা একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের গলা চেপে ধরে আছেন। তাও সচিবালয়ের মতো একটি জায়গায়। সেখানে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেনস্তা করছেন। তারপর দিয়েছেন পুলিশে। পুলিশ তাকে থানায় এনে সারা রাত আটক রেখে সকালে আদালতে তুলেছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। বিচারক সাহেব রিমান্ড বাতিল করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। সেই সাংবাদিক প্রিজন ভ্যানে তুলার সময় বলছিলেন, তার সঙ্গে যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে। এর মাঝে তাকে পুলিশ আর তাকে কোনো কথা বলতে দেয়নি । এইটুকুই শেষ কথা। প্রিজন ভ্যানে তাকে নেয়ার পর জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছেন বিমর্ষ চেহারা নিয়ে। হতবাক! এই যেন বলার কোনো ভাষা নেই। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চিত্র! যে রাষ্ট্রে সাংবাদিকতা মানে বাতাবি লেবুর ফলন।