অপ্রস্তুত
গত দুই মাসে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা যখন অতি দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী, তখন একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটিতেছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে, অদ্যাবধি প্রাণ হারাইয়াছেন ৫৯ জন মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের কারণ লইয়া বিশেষজ্ঞদের মনে দ্বিধা নাই— উহা সাধ্যাতিরিক্ত চাপের ফল। শয্যা-সরঞ্জাম-কর্মিবর্গ দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব হইলেও বৈদ্যুতিক তারের ব্যবস্থা রাতারাতি পাল্টাইয়া ফেলা যায় না। চিকিৎসা সরঞ্জামের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে প্রবল উত্তপ্ত হইয়া উঠে বিদ্যুৎবাহী তার, অতঃপর অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
কোথাও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিই কাল হইয়াছে, আগুন লাগিবার পর তাহা অতি দ্রুত ছড়াইয়া পড়িয়াছে। দমকল কর্তৃপক্ষের অভিমত, ইতিপূর্বে বহু হাসপাতালেই কদাপি পূর্ণক্ষমতায় কাজ করে নাই আইসিইউ। এক্ষণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ভেন্টিলেটর এবং অপরাপর সরঞ্জাম সর্বক্ষণ চালু রাখাই এই বিপত্তির কারণ। কারণ স্পষ্ট হইলেও ফলাফল লইয়া প্রশ্ন মুছিয়া যায় না। অতিমারি কখনও আসে নাই, যন্ত্রগুলি পুরাদমে চালাইবার প্রয়োজনও হয় নাই, কিন্তু তাহার ক্ষমতা নাই কেন?