অস্ত্র বিচার ভারি কড়া!
ছোরা নাকি ছুরি! তর্ক চলে আদালতে। ফলা আর বাঁট মাপে ইঞ্চিতে। ছুরি হলে বেকসুর খালাস। ছোরা হলেই সর্বনাশ! সাত বছরের কারাবাস। এর চেয়ে আর কম নেই আমাদের অস্ত্র আইনে (ধারা-১৯)। ঊর্ধ্বে তো যাবজ্জীবন। অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী দূরে থাক, ফৌজদারি বিচারে বসার আগে কাছ থেকে অস্ত্র দেখাও হয়নি বাপজন্মে। বাবা যে ডাক্তার ছিলেন, তিনি না হাতুড়ে না অস্ত্রোপচারী; নিতান্তই জেনারেল প্র্যাকটিশনার। তর্কযুদ্ধের মাঝে অস্ত্র বিচারে পড়তে হয় ধন্দে! জীবন-জীবিকার নানান কাজের সহায়কগুলো ‘অস্ত্র’, ‘হাতিয়ার’ জানি। সংস্কৃত আদি অর্থে ‘অস্ত্র’ হলো যা থেকে কিছু নিক্ষেপ করে হতাহত করা যায় যেমন কামান, বন্দুকাদি, আর আদ্যিকালের তীর-ধনুকাদি। হাতে নিয়ে যেটা দিয়েই হতাহত করা যায় সেটা ‘শস্ত্র’, যেমন ছোরা, তলোয়ারাদি। বাংলায় এসে সব একাকার হয়ে চলে ‘অস্ত্র’। হিন্দি থেকে আসা ‘হাতিয়ার’ শব্দে ‘অস্ত্র’ ও ‘শস্ত্র’ দুটোকেই বোঝালেও চলে না বাংলার আদালতে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নিরাপত্তা
- অস্ত্র আইন